বাংলাদেশের কৃষির বর্তমান অবস্থা

top news


 ঘুর্নিঝর জাওয়াদ এর কারণে ভরা অগ্রায়নের মৌসুমে নিম্নচাপের বৃষ্টিতে  আলু চাষের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা। চাষিদের চোখে ঝরছে জল।

 মাঠ ভরা পানি কমতে ও বেশ সময় লাগবে। ইতিমধ্যেই প্রায়  অর্ধশতাধিক জেলায় আলুর বীজ লাগানো শেষ। কিন্তু গত কয়েক দিনে নিম্নচাপের কারণে বৃষ্টি হওয়ায় প্রায় অঞ্চলের মাঠ গুলো পানিতে তলিয়ে গেছে যা কৃষক রা মানতে পারছে না।কারন আলুর চাষের মাঠে পানি থাকলে আলুর মধ্যে পচন ধরার সম্ভাবনা বেশি থাকে।  

আর যারা এখনো আলু চাষ করেনি তারা মাঠ ভিজে থাকায় আরো কিছুটা সময় পিছিয়ে যাবে বলে দাবি কৃষকদের। জোগান কমলে আলুর দাম বাড়ার আশঙ্কা করছেন তারা। 

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ এর হানা দেওয়ার মাএ কিছু দিন আগে জমিতে আলুর বীজ রোপণ করা হয়েছিল। এরি মধ্যে ভারি বর্ষন শুরু ব্যাংক লোন নিয়ে আলু চাষ করে এখন হতাশ কৃষকরা।




আলু চাষের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেলা অন্যতম।তারাও বেশ সংকটের মধ্যে রয়েছে বেশ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা। আসবে বছর আবারও বেশ চওড়া দামে আলু বিক্রি হতে পারে। গত বছর ও মণ প্রতি ৩০০-৪০০টাকা লস করেছেন কৃষকেরা। এ বছর ৩৭ হাজার ৯০০ হেক্টর আলু উৎপাদনে লক্ষ্য মাত্রা ধরা হয়েছে যার মধ্যে ১৭হাজার হেক্টর জমিতে আলুর আবাদ হয়েছে। 

এছাড়াও অন্যান্য ফসল ও রয়েছে যার মধ্যে শীত কালীল রবি শস্য পাকা ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এখনো জমিতে বেশ জলাবদ্ধতা রয়েছে। জলাবদ্ধতা যদি পানি নিষ্কাশন করা না হয় তাহলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যে যত ফসলাদি আছে তা পচে যাবে। ইতিমধ্যে শীতের সবজির সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হয়। যার মধ্যে রয়েছে, ফুলকপি,বাঁধাকপি, টমেটো, লাউ,ধনিয়াপাতা, মিষ্টি কুমড়া, কাঁচামরিচ এই সবজি গুলো ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা  সবচেয়ে বেশি। 



বাংলার কৃষকের মাঠে এখন যেন ট্রাজিক নাটকের শেষ দৃশ্য চলছে । উচ্চদামে বীজ কালো বাজারীর মার্কেটে ডবল দাম দিয়ে সার কিনে লেবার  লাগিয়ে দিনের পর দিন কৃষক নিজেও রোদে পুরে বৃষ্টিতে ভিজে কুয়াশায় ভরা শীতের মধ্যে কেঁপে জমিতে যে ফসল উৎপাদন করে ছিল  আজ সেই জমির ওপর দিয়ে বানের জল ছুটছে মাঠের পর মাঠ।চোখের সামনে কৃষক এর পরিশ্রম করা ফসল এখন পানিতে তলিয়ে নিমিষেই শেষ। 





















































Post a Comment

0 Comments