Header Ads Widget

Responsive Advertisement

এবার খুলে গেল মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার top news

 top news





এবার খুলে গেল মালয়েশিয়ার শ্রম বাজার। প্রবাসী কর্মী নিয়োগে বাংলাদেশ মালয়েশিয়ার সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে গতকাল। মালয়েশিয়া আগামী এক মাসের মধ্যেই প্রথম ব্যাচের কর্মীরা চলে যাবে। এটি নিঃসন্দেহে একটি খুবই ভালো খবর আমাদের জন্য। 

শনিবার ১৮ ডিসেম্বর মালয়েশিয়ায় স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত হয়েছে। এবং যথাযথ সম্মান ও মর্যাদায় বাংলাদেশ দূতাবাসে দিবসটি পালন করা হয়।এ উপলক্ষে দূতাবাসে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

মালয়েশিয়া সরকারের চলমান বিধি-নিষেধের কারণে দূতাবাসের  ফেসবুক পেজে লাইভে অংশ নেন সব প্রবাসীরা। এবং সভায় প্রবাসী ও দেশের উন্নতি কামনা করে মোনাজাত করা হয়েছে।। আলোচনা সভায় হাইকমিশনার মো.গোলাম সারোয়ার বক্তব্যের শুরুতে সশ্রদ্ধ বেদনায় স্মরণ করেন দেশের পরাধীনতার গ্লানি মোচনে রক্তঝরা প্রাণ উৎসর্গ করা বীর সন্তানদের। 

প্রবাসীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের দেওয়া সুযোগ সুবিধার সম্পর্কে হাইকমিশনার মো. গোলাম সারোয়ার এ বিষয়ে কথা বলেন।পাসপোর্ট  সেবা সহজ করার প্রক্রিয়া ও চলছে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে যাতে আরো দ্রুত পাসপোর্ট দেওয়া হবে, যাতে বৈধ করার প্রক্রিয়ার সুযোগ নিতে পারেন। শত প্রতিকূলতার মধ্যে ও বাংলাদেশ দূতাবাস পাসপোর্ট বিতরণ অব্যাহত রেখেছে। পোস্ট অফিসের মাধ্যমে দূর-দূরান্তে থাকা কর্মরত কর্মীদের মধ্যে দুই লাখ ৩০ হাজার পাসপোর্ট বিতরণ করা হয়েছে।

হাইকমিশনার বলেন সারা বিশ্বে বাংলাদেশের প্রবাসীদের মেধা, শ্রম ও দক্ষতা খুবই প্রশংসিত তারা কাজ করে মন প্রাণ দিয়ে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা সচেষ্ট আছি সব সময়। 

করোনাকালে বাংলাদেশ সরকার প্রবাসে ও কর্মীদের সহযোগীতা করেছেন। এবং দেশ ও নিজের দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা  পালন করেছেন আমাদের প্রবাসীরা। করোনাকালে সম্মুখসারির কর্মী হিসেবে  বাংলাদেশি কর্মীরা মালয়েশিয়ায় কাজ করেছ।          মো. গোলাম সারোয়ার বলেন, মালয়েশিয়ায় অনিয়মিত বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত বা আর্থিক লেনদেন না করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে  সবাইকে।  মালয়েশিয়া সরকারের রিক্যালিব্রেশন নামে অবৈধ প্রবাসি কর্মিদের বর্তমানে বৈধতা নিয়েছেন। যানা গেছে ৩১ ডিসেম্বর শেষ হওয়ার কথা থাকলেও আরো সময় বাড়ানোর জন্য সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা অব্যাহিত রয়েছে। 

সুতরাং এবিষয়ে কোনো দালাল, এজেন্ট বা তৃতীয় পক্ষের কিছু করার সুযোগ নেই। ফলে কারো প্রলোভনে প্রতারিত না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে দেশের ও প্রবাসীদের সবাইকে। বাংলাদেশ সরকার ও দূতাবাসের পরামর্শ ছাড়া নতুন করে প্রবাসী কর্মী নিয়োগের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিতে আহ্বান জানান তিনি। বাংলাদেশিদের আন্তরিক অভিনন্দন ওশুভেচ্ছা জানিয়ে প্রবাসীদের সেবায় যার যার অবস্থান থেকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানায় হাইকমিশনার অভিবাসী দিবসে।এছাড়াও যারা করোনাকালে স্বেচ্ছায় বিপদ আপদে সহযোগিতার হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকে ও ধন্যবাদ জানান। 

সভায় তাৎক্ষণিক প্রবাসী শফিকুল ইসলাম ও আবীর তাদের অভিজ্ঞতার কথা ও তুলে ধরেন সবার মাঝে এবং দূতাবাসের সেবার মান বাড়ানোর জন্য তারা অনুরোধ জানান। শ্রম কাউন্সিলর মো.জহিরুল ইসলাম শ্রম পরিস্থিতি সম্পর্কে তুলে ধরে বলেন, আমরা প্রবাসীদের মালিক পরিবর্তন করার সুযোগও করে দিয়েছি এবং সফলও হয়েছি। 

করোনার সংক্রমণের মধ্যে আমরা দূতাবাস কয়েক হাজার কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করে যাঁরা বেতনহীন প্রবাসী কর্মী তাদেরকে যেন ছাঁটাই না করা হয় তাই অনুরোধ করেছি । বিশ্বের অন্যান্য দেশ থেকে করোনার মধ্যে অনেেক দেশে ফেরত গেছে চাকরি হারিয়ে। তবে মালয়েশিয়া থেকে একজন কে ও কাজ হারিয়ে দেশে যেতে হয়নি। মালয়েশিয়ার কর্মরত প্রত্যেক প্রবাসী কর্মীদের বিমার আওতায় আনার প্রক্রিয়া অব্যাহিত রয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা  বাড়াতে ২০১৯ সাল থেকে এপর্যন্ত দেশটির সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশনের সকসো মেম্বারশিপ লাভ করেছেন ৫ লাখ ৬ হাজার ১৬৩ জন বাংলাদেশী প্রবাসী কর্মী।

ইতিমধ্যে ১৩ কোটি ১২ লাখ টাকার বিমা আদায় করা হয়েছে এ পর্যন্ত অস্থায়ী অক্ষমতা বরণকারী ৩১৭৮ জনকে ৮ কোটি ৮১ লাখ  টাকা, স্থায়ী পঙ্গুত্ব বরণকারী ৬৮ জনকে ৪ কোটি  ২১ লাখ টাকা ও ২১৯টি মৃতদেহ প্রেরন বাবদ ২কোটি ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।।। 








































































































Post a Comment

1 Comments