Header Ads Widget

Responsive Advertisement

বিএনপি দলটির নেতা-কর্মীরা এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন

 বাংলাদেশের আরেক শক্তিশালী রাজনৈতিক দল হলো বিএনপি। 




বেগম খালেদা জিয়া


বর্তমান সরকারের বিরোধী দলের চ্যায়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন জেলখানায় থাকার পর করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে এবং অসুস্থ থাকার পরিস্থিতিতে তাকে বাসায় যাওয়ার অনুমতি দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া বাসায় যাওয়ার অনুমতি পেলেও তাকে মুক্তি দেন নি বর্তমান সরকার।  

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া প্রায় দীর্ঘদিন যাবত ধরে বিভিন্ন ধরনের জটিল রোগে ভোগছেন। এবং তার এই অসুস্থতা মানতে পারছে না বিএনপি দলের নেতা-কর্মীরা। তাদের  ধারণা বিএনপির চেয়ারপার্সন কে আরো উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠালে তিনি সুস্থ হবার আশাবাদী নেতা-কর্মীরা। 

বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার নেতাকর্মীদের দাবি দেশের বাইরের উন্নত হাসপাতালের উন্নত চিকিৎসার সুযোগ করে দিলে বেগম খালেদা জিয়া সুস্থ হবেন। এবং এ দাবি মানতে নারাজ বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় শেখ হাসিনা। তিনি বলছেন যে বিএনপির চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আমাদের বাংলাদেশেই উন্নতমানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  খালেদা জিয়ার দেশের বাইরের হাসপাতালের চিকিৎসার কোনো দরকার নেই।  এ দাবী না মানায় বিএনপির নেতা-কর্মীরা বর্তমান সরকারের উপর তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। 

 বিএনপি দলের চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য দলটির নেতা - কর্মীরা নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের প্রায় ৩২টি জেলায় জেলায় সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। বিএনপির বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে গত বছরের ২২ ডিসেম্বর থেকে নতুন বছরের ৩ জানুয়ারী প্রর্যন্ত বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় জেলায় বিরাট সমাবেশ হয়েছিল। 

বিএনপি দলটির নেতা-কর্মীরা  এবার নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বিএনপি দলটির নতুন সিদ্ধান্তটি হলো এদলটির পূর্ব ঘোষিত বিভিন্ন সমাবেশ ও এসব কর্মসূচি সফল হওয়ার পর এবার বিএনপির নেতা - কর্মীরা অবশিষ্ট বাংলাদেশের জেল গুলোতেও এবার সমাবেশের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন বছরে এবার  ১২ জানুয়ারী থেকে শুরু হচ্ছে দেশের প্রতিটি জেলায় জেলায় বিএনপি দলটির নতুন করে সমাবেশ। তবে কবে কোথায় সমাবেশ শুরু হবে এবিষয়ে বিএনপির দলটির পক্ষ  থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি। 

এবছরের গত ১০ জানুয়ারী সোমবার বিএনপি দলটির নেতা-কর্মীরা তাদের উপস্থিতিতে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত স্থায়ী কমিটির সভায় নতুন করে সমাবেশের সিদ্ধান্ত গ্রহনের পর বিস্তারিত কর্মসূচি প্রনয়ের জন্য বিএনপি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং সভায় বিএনপির চেয়ারপার্সন এর  বিষয়ে আলোচনায় করা হলে সেখানে বলা হয়,  বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও বিদেশে নিয়ে সুচিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার জন্য তাকে বিদেশে প্রেরনের দাবিতে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক  আন্দোলনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের  অবশিষ্ট জেলা গুলোতে ১২জানুয়ারী বুধবার থেকে আরম্ভ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

এবিষয়ে বিএনপি দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে বিস্তারিত কর্মসূচি প্রণয়ের জন্য তাকে দায়িত্ব প্রধান করা হয়।এবং বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। 

বিএনপি স্থায়ী কমিটির ভার্চুয়াল সভায় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ব্যারিষ্টার জমির উদ্দিন সরকার, ব্যারিস্টার চন্দ্র রায়, মির্জা আব্বাস, আবু গয়েশ, ড. আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু। সভার মধ্যে সম্প্রতি সিরাজগঞ্জের বিএনপির শান্তিপূর্ন কর্মসুচি বানচালের চক্রান্তের উদ্দেশ্যে তাদের উপর দফায় দফায় আক্রমণ দলটির নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের ওপরে অবৈধ অস্ত্র নিয়ে গুলি বর্ষন এবং বিএনপির নেতা-কর্মীদের মারাত্মক ভাবে আহত ও হয়রানির ঘটনাটিকে সামনে   রেখে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। 

সামাজিক যোগাযোগ এর মাধ্যমে প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র সহ আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের ছবি জাতীয় দৈনিক ও বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরও তাদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের মামলা এবং কোনো বিচার ও গ্রেফতার না করে উল্টো বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় দায়ের করে গ্রেফতার এবং তাদের বাড়িতে বাড়িতে তল্লাশী চালিয়ে ক্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। 

বিএনপির নেতা-কর্মীদের মতে যত তারাতাড়ি সম্ভব অবিলম্বে চিহ্নিতদের আওয়ামী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তি হিসেবে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন এবং বিএনপির যে নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও গ্রেফতার কৃতদের মুক্তির দাবি করা হয়েছে। এবং একইভাবে দেশের হবিগঞ্জ ও পটুয়াখালী সহ সারাদেশে বিএনপি দলের নেতা - কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সকল মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার ও গ্রেফতার কৃতদের মুক্তির দাবি ও জানানো হয়। 

সভায়, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া টঙ্গী ও চট্টগ্রামে র‍্যাবের নির্যাতনে ২ জনের মৃত্যুর যে সংবাদ প্রকাশিত করা হয়েছে এতে গভীর উদ্ধেগও প্রকাশ করা হয়। এঘটনায় প্রয়োজনীয় সকল তথ্যাদি সংগ্রহ করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মানবাধিকার সম্পাদক এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামানে অনুরোধ করা হয়। এছাড়াও বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন গঠন বিষয়ে বর্তমান প্রেসিডেন্ট এর রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়। সামগ্রিক রাজনৈতিক পেক্ষাপটে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মত বিনিময়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।।।। 
































































































































































Post a Comment

0 Comments