Header Ads Widget

Responsive Advertisement

স্কুল ও কলেজ বন্ধ বা খোলা রাখার ব্যাপারে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি

 বাংলাদেশের করোনার পরিস্থিতি সম্পর্কে  স্কুল ও কলেজ বন্ধ

 বা খোলা রাখার ব্যাপারে এবং ২০২২ সালে নতুন করে

 লকডাউন নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি 

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি



জানিয়েছেন যে, 

শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি বক্তব্য রাখার প্রথমে তিনি সবাইকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানিয়ে তারপর বক্তব্য শুরু করেন।       

তিনি জানায় আমাদের বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের পরিস্থিতি আল্লাহর অশেষ রহমতে খুব ভালো আছে। এবং আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরাট সাফল্যের কারণে আজকে আমরা দেখছি যে বাংলাদেশের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি বিশ্বের যেকোনো জায়গার তুলনায় আমাদের এখানে অনেক ভালো অবস্থানে আমরা আছি। কিন্তু তারপরও বিশ্বে এখন বিশেষ করে ওমিক্রন এর বিরাট ধাক্কা শুরু হয়েছে এবং নতুন ঢেউ শুরু হয়েছে। সেই ঢেউয়ে বহু দেশ একেবারে উন্নত বহু দেশ এখন করোনায় প্রর্যুদস্ত। এবং আমাদের পাশের দেশ ভারতেও এক বড় আকারের সংক্রমনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এবং আমরা আজকেই দেখলাম আমাদের ঠিক পাশেই ভারতে পশ্চিমবঙ্গে সেখানে তারা খুব বেশ কতগুলো পদক্ষেপ নিয়েছেন। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ করা সহ। 

 ডাঃ দিপু মনি আরো বলেন যে, আমাদের এখানে করোনা ভাইরাসের এখনো যে পরিস্থিতি আছে সেটা এখনো খুব আশঙ্কা জনক জায়গায় নেই। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের হাড় এখনো খুবই কম। শতকরা তিন ভাগের ও কম এখনো। কিন্তু সপ্তাহ দুই একের মধ্যে এটি বেড়ে শতকরা দুইয়ের একটু বেশি হয়ে গেছে। এবং ওমিক্রনের আক্রান্ত কয়েকজন রোগীও শনাক্ত করা হয়েছে। কাজেই আমাদের এখন অত্যন্ত সতর্ক থাকতে হবে এবং সবার ক্ষেত্রেই স্বাস্থ্যবিধি খুব জরুরি ভাবে মেনে চলতে হবে। আর যেটা এখনো অনেকেই মানছেনা।  সেই স্বাস্থ্যবিধি মানলে আমাদের যদি এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কে যদি অনেক নিচে রাখতে পারি ।  তাহলে আমাদের জন্য আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাএাই আমাদেরকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যথা সময়ে যথা সিদ্ধান্ত নিয়ে যে অবস্থানটায় আমাদের নিয়ে আসতে পেরেছেন সেই অবস্থানটা আমরা বজায় রাখতে পারবো। 

তিনি আরো বলেন যে,  আমাদের অর্থনিতি চালু থাকবে, আমাদের জীবন চালু থাকবে, আমাদের শিক্ষা চালু থাকবে। কিন্তু তা নির্ভর করবে সম্পুর্ন আমাদের আচার-আচরণ এর উপরে। আজকে দাঁড়িয়ে আমরা কিন্তু আগামী মার্চ মাসে যেই সময়টাতে আমাদের দেশেও আমরা গত দুই বছর ধরে দেখছি যে, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বৃদ্ধি পায়। সেই সময়টা না আসা পর্যন্ত আসলে আমাদের পক্ষে কিছু বলার সম্ভাবনা নেই নিশ্চিত ভাবে, যে কি অবস্থা হবে। 

শিক্ষা মন্ত্রী ডাঃ দিপু মনি আরো বলেন যে, আমাদের এখানে বহু বিশেষজ্ঞদের যে প্রেদিকশন যে পূর্বাভাস তারা দিয়েছিলেন সেগুলোকেও প্রায় ভুল প্রমানীত করে আমরা কিন্তু অনেক ভালো একটা অবস্থায় আছি। আগামী দিনে আমরা কি অবস্থানে যাবো সেটা নির্ভর করতে আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আগামী মার্চ মাস পর্যন্ত না দেখে আমরা বলতে পারছিনা।

 আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে আমরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে পুরো দমে আমরা ট্রাস্ট চালু করতে পারবো কিনা। এখন যেভাবে ছিল মানে গত বছর যেভাবে ছিল এখন তার থেকে আমরা ক্লাসিক সংখ্যা কিছু বৃদ্ধি করেছি। কতগুলো ক্লাসের  শিক্ষার্থীরা আগে সপ্তাহে একদিন ক্লাসে  আসছিল, তারা এখন সপ্তাহের একাধিক দিন আসবেন।  কিন্তু আমরা পুরো দমে ক্লাস এখনো শুরু করতে পারছিনা। আমাদের স্বাস্থ্য বিধি মানার বাধ্যবাদকতা রয়েছে। মার্চ মাস হলে তারপর আমরা বুঝতে পারবো। যেহেতু এখনো আমাদের এখানে কোনো আশঙ্কা এই মুহূর্তে সেরকম দেখছি না। কিন্তু খুব সাবধানে থাকতে হবে এবং খুবই সাবধানে থাকতে হবে। 

তিনি আরো বলেন যে,  পাশের দেশ ভারতে যে অবস্থা গতবারও আমরা দেখেছি পাশের দেশে খুবই খারাপ অবস্থা হয়ে গিয়েছিল।  তখনও কিন্তু আমরা আমাদের এখানে সংক্রমন অনেক কম রাখতে পেরেছিলাম। আমি  আশা করবো যে এখানে চতুর্দিকে যত বেশি সংক্রমন হউক না কেন আমরা সচেতন থেকে আমরা আমাদের করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের বৃদ্ধি নিচে রাখবো। এবং সেটি নিচে রাখতে পারলেই আমাদের শিক্ষা একদম পুরোপুরি ভাবে জীবনের অন্য সব ক্ষেত্রের মতো চালু রাখতে পারবো। 

বক্তব্যের এক পর্যায়ে এক সাংবাদিক ডাঃ দিপু মনিকে প্রশ্ন করেন,  ২০২২ সালটা নিয়ে চিন্তা করা হয়েছিল যে, শিক্ষার যে ক্ষতিটা হয়েছিল সে ক্ষতিটা কি পুষিয়ে নেয়া যাবে?  

প্রশ্নের উওরে ডাঃ দিপু মনি বলেন,  আমরা যথাসাধ্য পুষিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করবো সে পরিকল্পনা আমাদের আছে। কিন্তু গত দুই বছরে শিক্ষায় যে কিছুটা হলেও ঘাটতি ঘটেছে, সেটা এক শিক্ষাবর্ষে পুরোটা কাটিয়ে উঠতে পারবো কিনা সেটা আমরা জানিনা। আমাদের চেষ্টাটি থাকবে তবে তা নির্ভর করবে যে আমাদের যে করোনা ভাইরাসের অতিমান গতিপ্রকৃতীর উপরে। 

 আমাদের এইচএসসি পরীক্ষা যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে হয়েছে, আমার ইতিমধ্যে একদম ইউজিসির সঙ্গে এবং যারা গুচ্ছ পদ্ধতিতে বিশ্ববিদ্যালয় গুলো গেছে তাদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা করা হয়েছে। এবং তারা রাজি যে এটি আমরা সবাই একমত। যে এটিই এই সংক্ষিপ্ত সিলেবাসেই এই ভর্তি পরীক্ষা হবে। আর এদের ক্ষেত্রে যে কয়টি বিশ্ববিদ্যালয় এ গুচ্ছ পদ্ধতি প্রক্রিয়ায় আসেনি। তাদের ও আমরা যেমন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কিছুটা কথা হয়েছে। তারাও মনে করেন যে এটাই যুক্তিযুক্ত। কিন্তু এখনো এব্যাপারে এ চারটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কিন্তু আমি আশা করি তারা হয়তো একই সিদ্ধান্ত নিবেন।  এবং খুব শিঘ্রই তাদের সঙ্গে মিটিং করা হবে। এবং ক্লাসের পরিমাণটি বাড়িয়েছি কিন্তু সেটা আমরা এখন দেব। কিন্তু  একই সঙ্গে আমরা পর্যবেক্ষণ করছি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পরিস্থিতি। যদি আমরা মনে করি যে আমাদের শিক্ষার্থীদের এবং শিক্ষকদের স্বাস্থ্যরক্ষার স্বার্থে এই ক্লাসের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া আবার প্রয়োজন তাহলে আমরা কমিয়ে দিবো। যদি দেখি বন্ধ করে দেওয়ার প্রয়োজন তাহলে বন্ধ করে দিবো। সে সবই আমরা প্রয়োজন বুঝে করব। এবং সেজন্যে একদম নিবিড় পর্যবেক্ষণ এর মধ্যে আছে।।।।। 































 



















Post a Comment

0 Comments