top news
গর্ভবতী মায়ের জন্য প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় সুষম খাবার দরকার এতে করে প্রয়োজনীয় পুষ্টি নিশ্চিত ও খাদ্য ঘাটতি দূর করা সম্ভব। এসময় প্রচুর পরিমানে বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এ সময় প্রয়োজন পর্যাপ্ত পরিমাণে মাছ, মাংস, ডিম ও দুধ।এছাড়াও প্রচুর পরিমাণে মৌসুমী ফল ও শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে।
বাজার থেকে কেনা ফলমূল, শাকসবজি আনার পর আধঘন্টা পর্যন্ত পানিতে ভিজিয়ে খেলে ফরমালিন ঝুঁকি এড়ানো সম্ভব। এসময় ফাস্টফুড খাবার না খাওয়াই ভালো। অতিরিক্ত তেল যুক্ত খাবার না খাওয়াই ভালো। গর্ভবতী মায়েদের জন্য ১ম তিন মাস ও শেষের তিন মাস সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।
যেমন পরিমিত হালকা ধরনের কাজ নারীর গর্ভকালীন সময়ে ১ম তিন মাস ও শেষ তিন মাস অতিরিক্ত পরিশ্রম না করে হালকা হাঁটাচলা করতে হবে।ভারী বস্ত বা কাজ বহন করা বা তোলা যাবে না।পিচ্ছিল স্থানে হাটা যাবে না। এবং সিড়ি উঠার সময় বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পারলে সিড়ি দিয়ে অতিরিক্ত যাতায়াত না করা ভালো।
গর্ভকালীন সময়ের ঘুম ঃএসময়ে দিনের বেলা কমপক্ষে ২ঘন্টা আর রাতে কমপক্ষে ৮ঘন্টা ঘুম বা বিশ্রাম করা আবশ্যক। ঘুমানো অথবা বিশ্রামের সময় বা কাত হয়ে শোয়া ভালো
গর্ভকালীন সময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকা ভালো। গর্ভবতী মায়েদের অবশ্যই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন আরামদায়ক ওসহজে পরিধান যোগ্য ও ঢিলে ঢালা পোশাক পরা উচিত।
গর্ভকালীন সময়ের ভ্রমনঃগর্ভকালীন সময়ে ১ম তিন মাস ও শেষ তিন মাস দীর্ঘ ভ্রমনে বা অতিরিক্ত যানবাহন চলাচল না করাই ভালো। এতে করে রাস্তাঘাট উঁচু নিচু পথ কিংবা ঝাঁকির আশঙ্কা আছে তাই যানবাহনে ভ্রমন করা স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। সকালে বিকেলে কিছু সময়ের জন্য স্বাস্থ্যকর ও মনোরম পরিবেশে ভ্রমন বা হাঁটাচলা করা ভালো। এতে করে শরীর সুস্থ ও মন প্রফল্ল থাকে। তাই ভালো জায়গায় ঘুরাঘুরি করা ভালো। তাই ফুলের বাগান, লেকের পাড়ে, পার্কে এ এসব স্থানে ভ্রমন করা উচিত।
শরীর এর যত্ন ঃ গর্ভকালীন মায়েদের শরীরের বিশেষ যত্ন ও রোগ প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের প্রতিদিন নিয়মিত সাবান দিয়ে ভালোভাবে গোসল করতে হবে এবং হাত পায়ের নখ কেটে ছোট রাখতে হবে। গর্ভকালীন সময়ে মায়েদের দাঁত বেশ নরম হয়ে যায় সাথে করে মাড়িও নরম হয়ে যায়। তাই দাঁত ও মাড়ির যত্ন নিতে হবে। এবং চার থেকে আট মাসের মধ্যে অবশ্যই টিটেনাসের টিকা নিতে হবে। এ সময়ে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা স্বাভাবিকের কম থাকে। তাই ইনফ্লুয়েঞ্জা, হাম,চিকেন পক্স ইত্যাদি ছোঁয়াচে রোগে আক্রান্ত রোগীর থেকে দুরে থাকতে হবে। এবং অতিরিক্ত আবেগ, মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা, ভয়, রোগ -শোক ইত্যাদি গর্ভবতী মায়ের স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর তাই এ বিষয়ে বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা উচিত। তাই খারাপ চিন্তা না করে ভালো চিন্তা করতে হবে।
এছাড়াও গর্ভকালীন সময়ে ১ম তিন মাস ও শেষ তিন মাস স্বামী সহবাস থেকে বিরত থাকতে হবে। এবং চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ঔষধ সেবন করা যাবে না। পানিশূন্যতা রোধে স্বাভাবিকের চেয়ে অধিক পরিমাণে পানি পান করতে হবে। সব ধরনের ঝুঁকি এড়াতে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া আবশ্যক।।।।
2 Comments
Good news
ReplyDeleteGood news
ReplyDelete