কক্সবাজার নারী ধর্ষনের শিকার হয়েছেন ।
কক্সবাজার পরিবার নিয়ে বেড়াতে এসে ধর্ষনের শিকার হয়েছেন এক নারী। স্বামী সন্তান কে জিম্মি করে তাকে তিনজন যুবক ধর্ষন করেন।
বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে খবর পেয়ে কক্সবাজার শহরের হোটেল - মোটেল জোনের জিয়া গেস্ট ইন নামের হোটেল এর একটি কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে রেব -১৫।
ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমার স্বামী তাদের হাতে - পায়ে ধরে মাফ চেয়েছে। কারণ আমার স্বামী এতটাও চালাক চতুর না উনি একজন সরলসোজা মানুষ। আমার স্বামী আরো কইছে, ভাই আমরা অন্য জাইগা থেইকা আইছি আমারে আপনেরা মাফ কইরা দেন। এর ৫ মিনিট পরে একটি সিএনজি নিয়া আইসা তারা আমারে টাইনা উঠায়ে ফেলাইছে। তখন বাস থেইকাও অনেক গুলা লোক নামছে। দুইবার আমি চিৎকারও করছি। আমি তখন চিৎকার করার সময় একজন আমার মুখ ধরছে আর একজন হাত ধরছে। তারপরে তারা আমার মুখ বাইন্দা ফেলছে। এরপর ভাঙ্গাচোরা রাস্তা দিয়া চিপাচাপার মধ্যে নিয়া গিয়া আমারে তিনজন মিলে রেপ করছে। এরপর সেখান থেকে জিয়া গেস্ট নামের একটি হোটেলে তাকে নেওয়া হয়। সেখানে ইয়াবা সেবন করার পর তাকে আরেক দফা ধর্ষন করে ওই তিন যুবক। এবং এ ঘটনা কাউকে জানালে সন্তান ও স্বামীকে হত্যা করা হবে বলে জানিয়ে রুম বাইরে থেকে বন্ধ করে ঘটনাস্থল তারা ত্যাগ করেন।
ওই নারী আরও জানান, এক যুবকের সহায়তায় জিয়া গেস্ট ইনের তৃতীয় তলার জানালা দিয়ে দরজা খুলেন তিনি। এরপর তিনি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন দেন। এবং থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। এরপর রেব এসে তাদের কে উদ্ধার করে।
এদিকে এ ঘটনায় জিয়া গেস্ট ইনে হোটেল এর সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তিন জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে শনাক্ত হওয়া দুইজন যুবক হলেন কক্সবাজার শহরের বাহারছড়া এলাকার আব্দুল জব্বার জয়া ও আশিকুল ইসলাম। । তবে অন্যজন হলেন আবুল কাসেমের ছেলে মেহেদী হাসান বাবু ওরফে গুন্ডায়া বাবু বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
চারমাস আগে জেল থেকে ছাড়া পায় আশিকুল ইসলাম। আশিকুল ইসলাম একজন ছিনতাইকারী, মাদকসহ একাধিক মামলার আসামি। বৃহস্পতিবার ২৩ ডিসেম্বর সংশ্লিষ্ট স্থানীয় কর্তপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এছাড়াও জিয়া গেস্ট ইন এর রিয়াজ উদ্দিন ছোটন(৩৩) নামে হোটেল ম্যানেজারকে আটক করা হয়েছে।
ধর্ষনের ঘটনার মামলায় অভিযুক্ত তিনজনই কক্সবাজার জেলা ছাএলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন এর অনুসারী। এঘটনার পর থেকে এস এম সাদ্দামের সঙ্গে এস এম সাদ্দামের সঙ্গে আশিকুল ও অন্যদের বিভিন্ন সময় তোলা নানা ধরনের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা ছাএলীগ সভাপতি এস এম সাদ্দাম হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, আমি ছাএলীগ সভাপতি দায়িত্ব নেওয়ার পর আমার সাথে অনেকে এসে ছবি তুলেছেন এবং এরাও তাদেরই মতো। আর ছবি থাকলেও বা কি ছাএলীগ হয়? অভিযুক্তরা কেউই ছাএলীগ এর পদ বা পদবিতে নেই বলেও দাবি করেন তিনি।
২২ ডিসেম্বর বুধবার সকালে ঢাকার যাএাবাড়ী থেকে বেড়াতে এসে স্বামী সন্তানসহ কক্সবাজারের শহরের হলিডে মোড়ের একটি হোটেলে উঠে তারা।বিকেলে সৈকতের লাবনী পয়েন্টে ঘুরতে গিয়ে অপরিচিত এক যুবকের সঙ্গে তার স্বামীর ধাক্কা লাগলে এর মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এতে শুরু হয় ঘটনার সূচনা।
এ ঘটনায় স্বামী সন্তানসহ জিম্মি করে গৃহবধূকে ধর্ষনের ঘটনায় জাতীয় সেবা ৯৯৯ ফোন করে সহযোগিতা চাইলে ওই নারীকে উদ্ধারে এগিয়ে আসেনি কোনো পুলিশ। কক্সবাজার সদর থানার উসি শেখ মুনীরউল গীয়াস এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ৯৯৯ নাম্বার থেকে কোনো ফোন কক্সবাজার সদর থানায় সংযুক্ত করা হয়নি।
কক্সবাজার সদর থানার ওসি, শেখ মনীরউল গীয়াস আরও বলেন, ওই নারী পর্যটককে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।এবং সেখানে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস ও(সিসি) ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ধর্ষনের শিকার নারীকে উদ্ধারে এগিয়ে না আসার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কক্সবাজার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ভিকটিমের এ অভিযোগ গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এবং যদি ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায় তবে এ দায়িত্বে অবহেলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।।।.
1 Comments
Bicher chi
ReplyDelete