Header Ads Widget

Responsive Advertisement

নতুন বছরের আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জের মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে তীব্র আলোচনা।

নতুন বছরের আগামী ১৬ জানুয়ারি নারায়নগঞ্জের মেয়র নির্বাচনকে সামনে রেখে চলছে তীব্র 
আলোচনা। 

আইভী ,শামীম ওসমান,এডভোকেট তৈমুর আলম



 এবারের নির্বাচনে সকলের দৃষ্টি নারায়ণগঞ্জের ৪ আসনের সাংসদ শামীম ওসমানের দিকে। এবার শামীম ওসমান নাকি বিরোধী দলের মেয়র প্রার্থী এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে দাবার ঘোড়ার চালের মারপ্যাচে ফেলবেন।  শামীম ওসমান সাংবাদিকদের সামনে এমন বক্তব্যই তুলে ধরেছেন। নারায়নগঞ্জের আসন্ন নাসিক নির্বাচন নিয়ে নানা রকম মুখরোচক কথা শোনা যাচ্ছে। এ নির্বাচন নিয়ে চায়ের দোকান থেকে শুরু করে মুদির দোকানসহ রাজনৈতিক মহলেও চলছে নির্বাচন নিয়ে নানা হিসেব নিকেশ। 

বাংলাদেশের বর্তমান প্রধান মন্ত্রীর প্রতীক নৌকা হলেও দেশের প্রভাবশালী সাংসদের মধ্যে একজন শামীম ওসমান। নারায়নগঞ্জের ৪ আসনের ক্ষমতাধর  সাংসদ শামীম ওসমান তাই এই কারণে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ শামীম ওসমানের দিকে। 

এখনকার আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভির সঙ্গে শামীম ওসমানের বিরোধের বিষয়টিও সামনে আসছে। এখানে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভির প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপির এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারের প্রতি ভেতরে ভেতরে  শামীম ওসমানের সমর্থন থাকার গুঞ্জনও চলছে । 

 মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করলেও  শামীম ওসমান কেন এখনো নীরব? আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, বাংলাদেশের আরও একটি রাজনৈতিক দল জাতীয় পার্টির কোন মেয়র না থাকলেও সাংসদ শামীম ওসমানের ভাই আরেক সংসদ সদস্য সেলিম ওসমানও একি পথে।

২০১১ সালের মেয়র পদে নির্বাচনের বিএনপি প্রার্থী ছিলেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।  আর আওয়ামী লীগ থেকে প্রার্থী হিসেবে ছিলেন সাংসদ শামীম ওসমান ও ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি।  ২০১১ সালের মেয়র নির্বাচনে শামীম ওসমানকে হঠাতে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনের আগের দিন গভীর রাতে সাংবাদিক সম্মেলন করে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে সেই মেয়র নির্বাচন হতে প্রত্যাহার করায়। ২০১১ সালের ঐ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হয়।  আর ঐ নির্বাচনে বিএনপির সাথে হেরে যায়  শামীম ওসমান। ২০১১ সালের নির্বাচনে ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভি নির্বাচিত হওয়ার ঐ মুহূর্তে তাৎক্ষণিক এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেন,  একটি কোরবানির গরুকে জবাই করার আগে গোসল করারও সময় দেওয়া হয়। কিন্তু আমাকে সেই সময়টা পর্যন্ত দেওয়া হয় নি। 

২০১১ সালের সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে এবারের আাসন্ন নাসিক নির্বাচনে সাংসদ শামীম ওসমান কেন নীরব। সর্ব মহল নৌকা প্রতীকের জনতার নীরবতাকে নানাভাবে বিশ্লেষণ করছেন।  এমপির এমন নীরবতাকে ভিন্ন দৃষ্টিতে দেখছে শামীম ওসমান। নৌকা প্রতীকের  পক্ষে নামবে সাংসদ শামীম ওসমান। নারায়নগঞ্জের বর্তমান মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভির জন্য না হলেও বঙ্গবন্ধুর আদর্শের নৌকা প্রতীকের জন্য নৌকার পক্ষে থাকবে শামীম ওসমান। বঙ্গবন্ধুর রক্তে স্বাধীনতার স্বপক্ষে রক্ত প্রবাহিত। তাই সেই এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে গোসল করিয়ে পবিত্র করে তাঁর সেই হেড়ে যাবার যন্ত্রনার প্রতিশোধ নিবে সাংসদ শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের বক্তব্যে, এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার যে বলছে আওয়ামী লীগের নাকি একাংশ আছে তাঁর সাথে। এবং তার প্রতীক ও আবার হাতী। শামীম ওসমান বলেছেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নাকি সেই দাবা খেলার ঘোড়ার আড়াই চালের মারপ্যাচে মধ্যে পড়বে।   এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আর সেই দাবা খেলার ঘোড়ার চালটি চালবেন প্রভাবশালী সাংসদ শামীম ওসমান। 

এদিকে আসন্ন নির্বাচন নিয়ে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারেরও মন্তব্যের শেষ নেই। এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলছেন যে তিনি নাকি শামীম ওসমানের পায়ে হাটে না।      নারায়নগঞ্জের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রাথী এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার সাংবাদিকদের বলেছেন, আমি শুধু আমার আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে পরোয়া করিনা। আমাকে শামীম ওসমানের ও পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধ করেই নারায়নগঞ্জের শহরে হাটতে হয়েছে। আমি মানুষের হৃদয়ের ভালোবাসার প্রাথী হয়েছি। আর এই নারায়নগঞ্জের শহরে আমি শামীম ওসমানের পায়ে হাটি না। গতবছরের ২৮ ডিসেম্বর মঙ্গলবার মেয়র পদে হাতী প্রতীক পাওয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে এসব কথা বলেন তিনি। 

এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার গণমাধ্যমের সামনে আরো বলেছেন,  এ নির্বাচন জনগনের আশা - আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলনের নির্বাচন। গত ১৮ বছরের সিন্ডিকেট  নিয়ন্ত্রিত  সিটি কর্পোরেশন  মুক্ত করার নির্বাচন।  আমি নির্বাচিত হলে নাসিক ভবন হবে জনগণের ভবন এবং সিটি কর্পোরেশন হবে সেবামূলক কর্পোরেশন । যেখানে গরিবের মাথার ছাদ কেড়ে নিয়ে ধনীদের জন্য ফ্ল্যাট বানানো হবেনা।  সেবা না দিয়ে ট্যাক্স বাড়িয়ে নিম্ন ও মধ্যবিওকে শোষণ করা হবে না।  এ বক্তব্যে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার আরো বলেন যে হাতী উঠলে কিন্তু নৌকা ডুবে যায়। অনেকে প্রশ্ন করেন যে আমি কেন নির্বাচনে দাঁড়িয়েছি।  আমি জাতীয় পর্যায়ের রাজনীতি করলেও নারায়নগঞ্জের জনগণের চাহিদা ও তাদের আকাঙ্ক্ষার ব্যাপারে আমাকে সচেতন থাকতে হয়। জনগনের প্রয়োজনেই আমাকে এখানে নির্বাচনে দাড়াতে হয়েছে।  তিনি আরো বলেন,  দেশের সব সিটি কর্পোরেশনের চেয়ে নাসিকের হোল্ডিং ট্যাক্স সবচেয়ে বেশি।  এখানে নাগরিকদের সুবিধাও কম। নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনে ২২ শতাংশ হোল্ডিং ট্যাক্স নেয়।  দ্বিতীয় সর্বোচ্চ চট্টগ্রাম নেয় ১৪ শতাংশ । আমি জনগণের চাহিদার পরিপেক্ষিতে  এ নির্বাচন করছি। জনগণ আমার সঙ্গে সম্পৃক্ত হচ্ছে।  এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার আরও বলেন,  নির্বাচন কমিশনের ওপর আমি আস্থা রাখতে চাই,  কিন্তু আস্থা রাখতে পারছি না। গত ২৪ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের নেতারা ও প্রতীক প্রার্থীসহ সমাবেশ করেছেন।  আমরা ১৬ ডিসেম্বরে ২০ হাজার লোকের সমাবেশ ঘটিয়েছি নারায়নগঞ্জ শহরে। আমি আইন মেনে চলেছি,  কিন্তু সরকার দলের প্রার্থী আইন মানছেন না।।।


























































Post a Comment

0 Comments