Header Ads Widget

Responsive Advertisement

এবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ হারালেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

এবার বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পদ হারালেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।


এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার


 এখন জনগণ ভাবছেন এটা বহিষ্কার নাকি নতুন কোনো কৌশল। বিএনপির চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে  এবারের নারায়নগঞ্জের নাসিক নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে।  এই বহিষ্কার এর ব্যাপারে কেউ কেউ এ পদক্ষেপকে বহিষ্কার হিসেবে দেখলেও অপরকিছু সুএ জানান, এটাও নাকি নির্বাচনী নতুন কৌশল। 

নতুন বছরের গত ৩ জানুয়ারী সোমবার দুপুরে বিএনপির দলের এই সিদ্ধান্তের কথা কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি পরো নারায়নগঞ্জ শহরে  ছড়িয়ে পড়ে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এবারের নির্বাচনের স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী বিএনপির  নেতা এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন,  এ বিষয়ে বিএনপি দল থেকে এখনো আমাকে কিছু জানানো হয়নি এবং কোনো চিঠি ও আমি পাইনি।  আর যদিও এটা সত্য হয়ে থাকে, তাহলে আলহামদুলিল্লাহ। আমি মনে করি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান একটি সময়োচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি আমাকে জনগণের জন্য মুক্ত করে দিয়েছেন। 

এডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ বিএনপির  কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব এ বিষয়ে বলেছেন, কোনো বহিষ্কার আদেশ হয়নি বিএনপি থেকে। এবং এধরণের তথ্য সম্পূর্ণ ভুল, এটি একটি নিতান্তই গুজব। 

এর আগে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে সরিয়ে  বর্তমান বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনিরুল ইসলাম রবিনকে ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বিষটি পুরো-পুরি নিশ্চিত করেছে কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় বিএনপির একাধিক সূত্র। 

বিএনপির সূত্রে জানা যায়, দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নারায়নগঞ্জের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া এবং যুবদলের নেতা মমিনউল্লাহ ডেবিকের মৃত্যু প্রসঙ্গে বিতর্কিত বক্তব্য রাখায় এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। 

এদিকে জানা যায়,   বিএনপি কোনো নির্বাচনে অংশ না নিলেও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।  তিনি প্রথম থেকেই বলেছেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হলে বিএনপি দল তার সাথে আছে। এরপর জেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে পরবর্তীতে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে সরিয়ে দেয় বিএনপি। এ বিষয়ে  বিএনপির হাইকমান্ড থেকে নির্দেশ আসে,  এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এর পক্ষে বিএনপির কোনো নেতা - কর্মীরা যেন কোনো ধরনের কাজ না করে। এবং এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে বহিষ্কার ও করা হতে পারে এমন আলোচনা চলছিল তখন থেকেই। 

অন্যদিকে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার এর সমর্থিত সুএ গুলো জানায়, নির্বাচন কালীন সময়ে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে দুটি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি বিএনপি দলের একটি কৌশল মাএ। নারায়নগঞ্জে এখন এমনও বিতর্ক চলছে যে, নির্বাচনের পর নাকি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির দেয়া তাঁর নিজের পদে আবার ফিরে যাবেন।এবং এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার যাতে ফ্রী এন্ড ফেয়ার ভাবে দলীয় ও সাংগঠনিক চাপ মুক্ত থেকে এ নির্বাচন করতে পারে। এছাড়াও যেহেতু বিএনপি সব সময় বলে আসছেন, বর্তমান সরকারের আমলে তাঁরা আর কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না।

তাছাড়া সেখানে যদি বিএনপির ব্যানারে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার নির্বাচনী মাঠে থাকলে রাজনৈতিকভাবে প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে বিএনপির। তাই একারণে এবারো বিএনপি এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে দুটি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে আরেক দফা বোকা বানালো প্রতিপক্ষকে। 

এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, নারায়নগঞ্জের জনগন সবাই আমার পক্ষে। জনগন আমাকে হাতী প্রতীকের পক্ষে রায় দেবে। একটা কথা বার বার ভালো লাগেনা। আমি বসিনি, বিএনপি দল বসে গেছে ২০১১সালে। এবার বিএনপি আমাকে আর বলতে পারবে না তুমি বসে যাও। কারণ আমার যে পদ ছিল তা বিএনপি নিয়ে গেছে। এখন আর আমার দল বলতে পারবে না। এখন  সম্পূর্ণ নাগরিকদের কন্ট্রোলে আমি। যেভাবে জনগন আমাকে দলমত নির্বিশেষে নেমেছেন, এ ব্যাপারে আমি নিশ্চিত জনগণ হাতী প্রতীকের পক্ষে রায় দিবে আমার পক্ষে রায় দিবে। এ বছরের ৪ জানুয়ারী মঙ্গলবার সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনী প্রচার - প্রচানায় নামার সময় সাংবাদিকদের একথা বলেন এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার।

তিনি আরো বলেন, আমাকে জনগন স্বাচ্ছন্দে ভোট দিতে পারবেন । কারণ এখন আমি কোনো দলীয় প্রার্থী না। আর যারা বিএনপি দলের ধানের শীষ প্রতীকের ভোট দিত, তারা কেন আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট দিবে? তারা শুধু আমাকেই হাতী প্রতীকে ভোট দিবে। আমার এই প্রার্থীতা তো নাগরিকদের চাহিদার কারণেই। বিএনপি দল আমার জন্য নেমেছে,  নাগরিকরা আমার জন্য  নেমেছে, সকল দলই আমার জন্য নেমেছে। যাদেরকে আমার আশেপাশে দেখছেন তারা সবাই বিএনপির নেতৃবৃন্দ। 

এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার বলেন যে, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে  সরকারি দলের কিছু নেতার বক্তব্যে শঙ্কা দেখা যায়। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলে গিয়েছে এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকারকে মাঠে নামতে দেওয়া হবে না। তবে এই ধরনের কথাবার্তা সম্পূর্ণ উস্কানিমূলক।  এসব কথাবার্তায় বিশৃঙ্খলার বীজ বপন করা হয়। 

তিনি আরো বলেন যে, নির্বাচন কমিশন বাধাগ্রস্থ করেছে আমার শোডাউনকে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু নির্বাচন কমিশন আওয়ামী লীগের শোডাউনকে বাধাগ্রস্থ করতে পারেনি, এবং এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। 

এডভোকেট তৈমুর আলম খন্দকার আরো বলেন যে, আমার স্লোগান হল সিটি করপোরেশনে কোনো সিন্ডিকেট থাকবে না, সিটি করপোরেশন জনমুখী হবে। জনগণকে সিটি করপোরেশনের পিছনে দৌড়াতে হবে না।  বরং সিটি করপোরেশন প্রতি এলাকায় এলাকায় যাবে। এবং আমরা আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করব তাদের সাথে কথা বলে। সাংবাদিকদের সামনে এমন বক্তব্য পেশকরেন তিনি। 

এবং তিনি বলেন যে, ১৬ জানুয়ারীতেই নির্ধারন হবে নগর ভবনে কে হবেন জনগণের সেবক। জীবনে বহু চ্যালেঞ্জার  মুখোমুখি হতে হয়েছে আমাকে, চ্যালেঞ্জ ছাড়া জীবনে সাকসেসফুল হওয়া সম্ভব না। এবারের নারায়নগঞ্জের নাসিক সিটি করপোরেশন নির্বাচনে হাতী প্রতীকেরই জয় হবে" ইনশাআল্লাহ "।।।। 






 



























































































































 

Post a Comment

0 Comments